নয়াদেশ রিপোর্ট॥ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, যেকোনো মূল্যে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সবাইকে ধৈর্য ধরে এগিয়ে যেতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পূর্বাচলে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায়। জনগণ গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। আমরা সবাই মিলে নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ব।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘একাত্তরে পেয়েছি স্বাধীনতা, চব্বিশে সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে দেশবাসী।
দেশে নেমে বিমানবন্দর থেকে জনস্রোত পেরিয়ে সরাসরি গণসংবর্ধনাস্থলে উপস্থিত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার আগমন উপলক্ষে বিমানবন্দর থেকে দুই পাশের সড়কে মানুষের উপস্থিতি জনস্রোতে পরিণত হয়।
পাশাপাশি আগে থেকে জনতার ভিড় জমেছে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডের ৩০০ ফিট সড়কে।
বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর ৩০০ ফিট সড়কের গণসংবর্ধনা মঞ্চে পৌঁছান তারেক রহমান। গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে তারেক রহমানকে শুভেচ্ছা জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় মায়ের জন্য দোয়া চাইলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে তারেক রহমানকে শুভেচ্ছা জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায়, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চায়।
শুরুতেই তিনি বলেন, ‘প্রথমেই আমি রাব্বুল আলামিনের দরবারে হাজারো লক্ষ-কোটি শুকরিয়া আদায় করছি, অশেষ রহমতে প্রিয় মাতৃভূতিমেক ফিরে আসতে পেরেছি আপনাদের মাঝে।
প্রথমে তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ করেন। এরপর ১৯৭৫ সালের সিপাহি-জনতার বিপ্লবের কথা উল্লেখ করেন।
তারেক রহমান নব্বইয়ের গণ-আন্দোলনের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট একাত্তরের মতো এ দেশের ছাত্র-জনতাসহ সর্বস্তরের মানুষ—কৃষক, শ্রমিক, নারী-পুরুষ, মাদ্রাসার ছাত্রসহ পেশা ও শ্রেণিনির্বিশেষে সবাই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভূমিকা রেখেছিল।
এর আগে বিকেল ৩টা ৫১ মিনিটে তিনি মঞ্চে ওঠেন তারেক রহমান। তারেক রহমান সংবর্ধনাস্থলে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে জনসমুদ্রে পরিণত হওয়া ৩০০ ফিট স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে। তারেক রহমান হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের অভিবাদন গ্রহণ করেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সেখানে উপস্থিত রয়েছেন।
এর আগে দুপুর ১২টা ৩৫মিনিটে তিনি বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে একটি বিশেষ বাসে করে ৩০০ ফিটের উদ্দেশে রওনা দেন। দলীয় নেতাকর্মীরা রাস্তার দুধারে হাত নেড়ে তাকে স্বাগত জানান। ৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর মঞ্চে পৌঁছান বিএনপি নেতা তারেক রহমান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আই হ্যাভ আ প্লান। সেই প্ল্যানটা হলো বাংলাদেশকে নিয়ে, বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে। আমরা বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ‘৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে’ এলাকায় আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আপনারা মার্টিন লুথার কিং-এর নাম শুনেছেন। তিনি বলেছিলেন, আই হ্যাভ এ ড্রিম। আমি আপনাদের সকলের সামনে দাড়িয়ে আমি বলতে চাই- আই হ্যাভ এ প্লান। ফর দি পিপল অব মাই মাই কান্ট্রি।
দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এটি আমরা বাস্তবায়ন করব।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের প্রত্যেকটি মানুষের সহযোগিতা লাগবে। এজন্য আপনারা পাশে থাকবেন। সেটা হলেই কেবল আমরা সেই ‘আই হ্যাভ এ প্ল্যান’ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব।
এ সময় তিনি দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।
তিনি আরো বলেন, ‘এ দেশের মানুষ যদি আমাদের পাশে থাকে, আল্লাহর রহমত যদি আমাদের সঙ্গে থাকে তাহলে আমরা আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।
এ সময় তারেক রহমান ‘মার্টিন লূথার কিং এর ডায়লগ স্মরণ করে বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সদস্য হয়ে বলতে চাই, আই হ্যাভ এ্যা প্ল্যান, ফর দ্য পিপল অব দ্যা কান্ট্রি।’
আসুন আজকে আমরা আল্লাহর দরবারে দোয়া করি, যে সকল জাতীয় নেতৃবৃন্দ আছেন আমরা সকলে মিলে দেশেকে নেতৃত্ব দিয়ে জনগণের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়তে চাই।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো মূল্যে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। যেকোনো উস্কানির মুখে দেশকে রক্ষা করতে হবে। আমরা দেশের শান্তি চাই, দেশের শান্তি চাই, দেশের শান্তি চাই।
মন্তব্য করুন