নয়াদেশ রিপোর্ট॥ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট কাটাতে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে নতুন করে ১২০ কোটি ডলার ঋণ পেয়েছে। মঙ্গলবার সংস্থাটির নির্বাহী বোর্ড অনুমোদন দেওয়ার পর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।
আইএমএফ জানায়, পাকিস্তানের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির অগ্রগতি মূল্যায়নের দ্বিতীয় দফা পর্যালোচনায় সন্তুষ্ট হওয়ায় এই ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০০ কোটি ডলার সাধারণ অর্থনীতি পরিচালনায় এবং বাকি ২০ কোটি ডলার জলবায়ু–সম্পর্কিত ঝুঁকি মোকাবিলায় অবকাঠামো নির্মাণ ও কর্মসূচিতে ব্যয় করতে হবে।
গত বছর ২০২৪–এ আইএমএফ দুই দফায় পাকিস্তানকে মোট ৩৩০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিল। তিন বছরের মধ্যে ধাপে ধাপে সে ঋণ পরিশোধের শর্ত ছিল।
নতুন ১২০ কোটি ডলার যুক্ত হওয়ায় আইএমএফের প্রতি পাকিস্তানের মোট ঋণের পরিমাণ আরও বেড়েছে।
বিগত কয়েক দশক ধরেই ইসলামাবাদ আইএমএফের সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। করোনা–পরবর্তী সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট তীব্র হওয়ায় ঋণ পাওয়া আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নতুন ঋণ অনুমোদনের বিষয়টি স্বাগত জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, “এটি প্রমাণ করে যে আমাদের অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি সঠিক পথে এগোচ্ছে।” তিনি এ ক্ষেত্রে সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসিম মুনির এবং অর্থমন্ত্রী মুহম্মদ আওরঙ্গজেবের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
প্রবল বর্ষণ, বন্যা ও ভূমিধসের কারণে ২০২৪ ও ২০২৫ সালে পাকিস্তান বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়ে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যেও দেশটি রিজার্ভ বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে গেছে বলে আইএমএফ তাদের বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে। বর্তমানে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ১৪৫০ কোটি ডলার এবং এটি আরও বাড়বে বলে আশা করছে সংস্থাটি।
রিজার্ভ বৃদ্ধির ইতিবাচক প্রবণতাও নতুন ঋণ অনুমোদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে আইএমএফ জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন