কমপক্ষে ৬ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন সাকিব !

প্রকাশিত: ২:৫০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০১৯

নয়াদেশ স্পোর্টস রিপোর্ট।।  হয়েছে মনের ভুল অর্থাৎ ভুলে যাওয়া। অথচ, আইসিসি বলছে ধামাচাঁপা। ঘটনাটি দু’বছর আগের ঘটনা।
দুই বছর আগে একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচের আগে জুয়াড়িদের কাছ থেকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সেই প্রস্তাব সাথে সাথেই নাকচ করে দেন সাকিব।
আইসিসি’র আইসিসি অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিটের নিয়মানুযায়ী এমন প্রস্তাব কোন খেলোয়াড় পেলে তা সাথে সাথে আইসিসিকে বা সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানাতে হবে। আর বিষয়টি ভুলে যাওয়ায় সেই জানানোর কাজটিই করেননি সাকিব।
আর এই একটি ছোট্ট ভুলের কারণেই এখন মহা বিপদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আইসিসির কাছে প্রমাণিত যে, সাকিবের কাছে জুয়াড়ি ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। সাকিব তা ফিরিয়েও দিয়েছেন। কিন্তু বিষয়টা জানাননি কাউকেই, গোপন করেছিলেন। এটাই হলো অপরাধ। আর আইন অনুযায়ী এই অপরাধে ৬ মাস থেকে ৫ বছর পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞার শাস্তি আরোপ হতে পারে সাকিবের ওপর।
এদিকে, আইসিসির তদন্তে সাকিব পূর্ণ সহযোগিতা করে জানিয়েছেন, তিনি ভুল করে ফেলেছেন। মূলতঃ বিষয়টাকে গুরুত্ব দেননি বলেই কাউকে জানানো হয়নি। তবে, ধারণা করা হচ্ছে সেহেতু সাকিব পূর্ণ সহযোগিতা করেছে এবং ইতোপূর্বে ফিক্সিংয়ের বিষয় তিনি আইসিসিকে জানিয়েছেন এমন নজিরও রয়েছে সেহেতু, হয়ত তাকে সর্বনিন্ম শাস্তিই (ছয় মাস) দেবে আইসিসি।
তবে, আজ অথবা আগামীকাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শাস্তির পরিমানটা জানাতে পারে আইসিসি।
অপরদিকে, সাকিবের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগ করেছে বিসিবি। বিসিবি আইন অনুযায়ী, কোন ক্রিকেটার বিসিবিকে না জানিয়ে কোন মোবাইল কোম্পানির সাথে কোন রকম চুক্তিতে যেতে পারবেন না। আর সাকিব নিয়ম না মেনে সেই ভুলটিই করেছেন।
সম্প্রতি তিনি গ্রামীণ ফোনের সাথে এক চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছেন। আর চুক্তির আগে বিসিবি’র কোন রকম অনুমতি নেননি। তাই বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের দাবি, এই চুক্তির ফলে বিসিবি একশ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
পাপন জানান, খেলোয়াড়রা আলাদা চুক্তি করলে বোর্ড স্পন্সরশিপ পায় না। তাই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, কোনো খেলোয়াড় টেলিকম কোম্পানির সাথে চুক্তি করতে পারবে না। অন্য কোথাও চুক্তি করলে সেটাও বোর্ডকে জানাতে হবে। আর চুক্তি করতে না দিলে খেলোয়াড়দের ক্ষতিপূরণও দেয়া হয় বলে জানালেন বোর্ড সভাপতি। এছাড়া কোম্পানিগুলোকেও বলে দেয়া হয়েছে কারও সাথে চুক্তি না করার।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যটা ছিল আগামী বছর আমাদের দলের স্পন্সরশিপ বিক্রি করব। তখন টেলিকম কোম্পানিগুলো আসুক। এখন কি কেউ আসবে ? সাকিব না হয় ২-৩ কোটি টাকা পেয়ে গেল, কিন্তু আমরা তো কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকা হারালাম। এতে কি অন্য খেলোয়াড়রা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি ? এটা সে (সাকিব) আইনগতভাবে পারে না।