সাঘাটায় টিকার জন্য শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ৭:০৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২

সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি॥ গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যিিমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী করোনা প্রতিরোধক টিকা না পেয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। টিকা প্রদানের কথা বলে গতকাল সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা সদর ডাববাংলোয় ডাকা হলেও উপস্থিত শত শত শিক্ষার্থীর ভাগ্যে টিকা জোটেনি। ফলে টিকা না পাওয়া শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে বিক্ষোভ করে। সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায় সারা দেশ ব্যাপী ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সের শিক্ষার্থীদের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধক দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রদানের কার্যক্রম চলছে। এই কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সোমবার উপজেলা সদর বোনারপাড়ায় ডাকবাংলো টিকা কেন্দ্রে বোনারপাড়া কাজী আজহার আলী, জিপি শহর, রামনগর,পদুম শহর, নয়াবন্দর, বোনারপাড় ইসলামিয়া, কচুয়া ও ভাঙ্গামোড় এই ৮টি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ডাকা হয়। বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও মাদ্রসার হাজার হাজার শিক্ষার্থী টিকা কেন্দ্র উপস্থিত হয়ে টিকা নেয়ার জন্য সকাল ৮ থেকে বেলা ২ টা পর্যন্ত দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়িয়ে থাকে। বেলা ২ ঘটিকা পর্যন্ত টিকা চলার পর টিকা কর্মীরা উপস্থিত শত শত শিক্ষার্থীদেরকে টিকা না দিয়ে টিকা প্রদান কার্যক্রম বন্ধ করেন। ফলে দীর্ঘ সময় দাড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্ঠি হলে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থান নেয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন পরতর্ীতে টিকা দেয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা ফেরৎ যায়।এব্যাপারে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আরিফুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি জানান,পর্যায় ক্রমে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হচ্ছে বা হবে। সে অনুযায়ী শিক্ষা অফিস থেকে পর্যায় ক্রমে শিক্ষার্থীদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। শিক্ষা অফিসের দেয়া চাহিদা অনুযায়ী সোমবার উপজেলার ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য টিকা সরবরাহ করা হয়েছে । সেকারণে ডাকবাংলো টিকা কেন্দ্রে ৩ হাজার শিক্ষার্থী উপস্থিত হওয়ার কথা। সেখানে অধিক সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর উপস্থিত হওয়ার ফলে টিকার সংকট হয়েছে।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আজিজুল হক অধিক সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী টিকা নিতে আসা এবং তাদের বিক্ষোভের কথা স্বীকার করে বলেন শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতার কারণে এধরণের ঘটনা ঘটেছে।