সরকার কোনো চ্যানেল বন্ধ করেনি: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৪:১৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩, ২০২১

নয়াদেশ রিপোর্ট॥ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, উপমহাদেশের সব দেশেই ক্লিনফিডের আইন মেনেই বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করে থাকে। রোববার (৩ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। সরকার কোনো চ্যানেল বন্ধ করতে বলেনি, কেবল অপারেটরদের দুই বছর সময় দেওয়া হয়েছিল তারা প্রস্তুতি নেয়নি বলেও এ সময় জানান তথ্যমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ১৭টি চ্যানেল ক্লিনফিডে আসে, কেবল অপারেটররা সেটিও বন্ধ করে রেখেছেন যেটা অপরাধের শামিল। এদিকে গতকাল ডিজিটালাইজেশন করা পর্যন্ত বিদেশি চ্যানেলগুলো চালানোর অনুমতি দিতে সরকারকে অনুরোধ জানায় কেবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ কোয়াব। আগামীকাল সোমবারের পর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনের আরেকটি অংশ। একই সময়ে টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাটকোর সিনিয়র সহসভাপতি মোজাম্মেল বাবু জানিয়েছেন, এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আর তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেছেন, বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড প্রদর্শনের আইন মানার দায়িত্ব বিদেশি চ্যানেল ও দেশে সম্প্রচারকারী উভয়ের। এদিকে সিদ্ধান্ত কার্যকর করায় তথ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে বিএফইউজে ও ডিইউজে।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর সরকারের জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী ৩০ সেপ্টেম্বরের পর থেকে ক্লিনফিড ছাড়া, অথাৎ বিজ্ঞাপনসহ সম্প্রচার করা যাবে না কোনো বিদেশি চ্যানেল। বিদেশি চ্যানেলগুলো সে বিশেষ ব্যবস্থা না রাখায়-পুরোপুরি সম্প্রচার বন্ধ রেখেছে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-কোয়াব। তবে শনিবার বিকেলে পৃথক সংবাদ সম্মেলন ডেকে নিজেদের অবস্থান জানায় কেবল অপারেটরদের দুটি সংগঠন।

বছরে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে বিদেশি চ্যানেল, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ২০০৬ সালে কেবল নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধের কথা বলা হলেও এত বছর তা কার্যকর করা যায়নি। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে, খসড়া সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।