শাহাজাদা বসুনিয়া’র দু’টি কবিতা NayaDesh NayaDesh প্রকাশিত: ১:৩২ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০১৯ জলের খেলা ভালো লাগে শিশিরভেজা সকালবেলা বিন্দুবিন্দু শিশির গড়িয়ে পড়ে ঘাসে। টপ্ টপ্ বৃষ্টি পড়ে, টিনের চালে রিদম উঠে, বৃষ্টি তখন শব্দ হয়ে কানে বাঁজে। নদীর বুকে স্রোত চলছে তেড়ে, নদীর জল চলছে তেড়ে সাগর বুকে। গভীর জলে সাতার কাটে, সাতার কাটে জলের ভাজে, পুকুর পাড়ে নৃত্য চলে। ঝরনা জল আয়নাসম, ঝরনা জলে গোসল করি, ঝরনা জলে ভাসি। চোখ থেকে পড়ে জল-অশ্রুজল, জীবনভরে অশ্রুজলে ভিজি। কষ্ট মানেই হলো অশ্রুজল কাঁদো-আরো কাঁদো-অশ্রুজলে ভাসো। -জল বহুরূপী- অশ্রুজল বৃষ্টিজল বন্যাজল পুকুরজল সাগরজল শিশিরজল ঝরনাজল জলের ভেতর কান্না থাকে, জলের ভেতরহাসি, জলের ওপর সাতার কাটি, জলের ভেতর কাঁদি। ধরনীর তিনভাগ জল-একভাগ স্থল এই স্থলে সিক্ত আমরা অশ্রুজলে। স্ত্রী সন্তান সহ কবি শাহাজাদা বসুনিয়া খুঁজি একটি মুখ জীয়ন্ত লাশ-বোধহীন পাথর ঘরে আমার বসবাস অবাক-বিস্ময়ে উঁকি মারি, দেখি চারপাশ পৃথিবী থেকে বন্ধু সূর্য বিদায় নিলো, রেখে গেল তার শেষ লাল্ চে আভা পৃথিবীর বুকে, আমাকেও ডাক দিলো, এখনও আমার চিবুক বালিশের ভাঁজে আমার কালো চুল বাতাসে উড়ে আমি পৃথিবী থেকে যোজন যোজন দূরে তবুও ভাবি এ পৃথিবী আমার, মানুষেরা ঘুমিয়ে আছে আমার চোখে-চোখে চোখ রেখে। কবিরা কোথায় গেল ? কেন আমি গান শুনিনা বহুকাল ? কেন আমি দেখিনা হাতধরা যুগল মাঠে-ঘাটে ? কেন তারা হাঁটে না হাত ধরে এতকাল ? কেন শুনি না তাদের কথা এতকাল ? আমি কী ঘুমান্ত ? নাকি দুয়ার-জানালা বন্ধ ? ভয়ে আমার দীর্ঘশ্বাস বাড়ে, বহে অশ্রুজল ওহে মনুষ্য পৃথিবী-তোমরা কি ভূলে গেছো আমাকে ? আমি তো তোমাদের লোক, অতি ক্ষুদ্র বটে দেখো-বাতাস বহে, আমাকে বায়ু ভালোবাসে জীয়ন্ত লাশ হয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলি অন্ধকারে পাথরের মত নিশ্চল থাকি প্রকৃতি এখনও মাথা নাড়ায়, কত সুন্দর প্রকৃতি ! স্বচ্ছ ঝর্ণাধারায় দেখি মানুষের মুখ পুকুরে ফুটে থাকা পদ্মরা ভারাক্রান্ত থাকে প্রেয়সী ঘুমায় দুঃখের সরোবরে তার চোখ অশ্রুভরা, গভীর ঘুমে দেখি কত সুখ আমি আধো জাগ্রত, দেখিনা কোথায় একটিও মানুষের মুখ। SHARES কবিতা বিষয়: