মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় জনবল বাড়াতে আদালতের নির্দেশ

প্রকাশিত: ৩:১০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০১৯

নয়াদেশ রিপোর্ট।।  ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম আদালতের তলবে স্বশরীলে হাজির হয়ে রায়ের কপি প্রদানে বিলম্বের ব্যাখ্যা দেয়ার পর রোববার (০১ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
সারোয়ার আলমের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় এক ব্যক্তিকে সাজা দেয়ার পর চার মাস অতিবাহিত হলেও আদেশের কপি সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে না দেয়ায় আজ আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে গত ১৮ নভেম্বর সারোয়ার আলমকে তলব করেন হাইকোর্ট। সকালে তলব আদেশে হাজির হয়ে ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্টের অভাবে ওই রায়ের কপি দিতে বিলম্ব হয় বলে আদালতের কাছে বলেন। তিনি আরও বলেন, একদিনে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার কারণে ঢাকায় ফিরে রায় লিখতে হয়।
এসময় আদেশের কপি না দেয়ার জন্য তিনি আদালতে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে আদালত তাকে ক্ষমা করে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন। একই সাথে, এ পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট দিতে জনবল বাড়াতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণলায়কে নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৮ জুলাই অভিযান চালিয়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মিজান মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে এক বছরের কারাদÐ দেন। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের তপু এন্টারপ্রাইজ নামে একটি পশুখাদ্য প্রস্তুতকারক কারখানার ব্যবস্থাপক মিজান। পরে ওই সাজার আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য আদেশের কপি চেয়ে চার মাসেও না পেয়ে আদেশের কপি দেয়ার ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে মিজান মিয়া গত ১৭ নভেম্বর রিটটি করেন।