ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনা, নিহত ১৬, একাধিক তদন্ত কমিটি NayaDesh NayaDesh প্রকাশিত: ২:০৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০১৯ নয়াদেশ রিপোর্ট।। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত শতাধিক যাত্রী। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোররাত ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে কসবা উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর তূর্ণা নিশীথা ও সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেস এর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৯ জন মারা যান। পরে মারা যান আরও ৭ জন। নিহতরা হলেন, হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার আনোয়ারপুর এলাকার হাসান মিয়ার ছেলে আলী মো. ইউসূফ (৩৫), মদনমোরাদ এলাকার আইয়ূব হোসেনের ছেলে আল-আমিন (৩৫), চুনারুঘাট উপজেলার পীরেরগাঁও এলাকার সুজন (২৪), চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজাগাঁও এলাকার মজিবুর রহমান (৫০) ও তার স্ত্রী কুলসুমা (৪২), চাঁদপুরের ইয়াসিন (২৮) ও চাঁদপুরের মাইনুদ্দিনের শিশু কন্যা নাইমা। বাকীদের পরিচয় উদ্ধারের কাজ চলছে। মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী জানান, সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি এক নম্বর লাইনে প্রবেশ করছিল। এ সময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটিকে আউটারে থাকার সিগন্যাল দেয়া হয়েছিল। কিন্তুতূর্ণা নিশীথার চালক সিগনাল অমান্য করে মূল লাইনে চলে আসার কারণেই এই দুর্ঘটনা। এদিকে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের জন্য তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে (বিআর) বাংলাদেশ রেলওয়ে। এরমধ্যে রেলের মহাপরিচালকের দফতর থেকে একটি, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল মহাব্যবস্থাপক কার্যালয় থেকে একটি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করে প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দিয়ে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান। SHARES জাতীয় বিষয়: