বর্তমান ও সাবেক সাংসদ, হুইপ, রাজনিতিক, সরকারী কর্মকর্তাসহ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু NayaDesh NayaDesh প্রকাশিত: ৭:২৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০১৯ নয়াদেশ রিপোর্ট।। বর্তমান ও সাবেক সাংসদ, জাতীয় সয়সদের হুইপ, রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী ও সরকারী কর্মকর্তাসহ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিভিন্ন সংস্থার দেয়া তথ্য ও অভিযোগের পাশাপাশি বিভিন্ন সময় নানা গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত সংবাদের উপর ভিত্তি করেই এ কার্যক্রম শুরু করেছে দুদক। সূত্র জানায়, অভিযুক্তদের মধ্যে বর্তমান সময়ের জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী, ভোলা-৩ আসনের নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও তার স্ত্রী ফারজানা চৌধুরী, বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু ও তার স্ত্রী সায়মা আফরোজ এবং সাতক্ষীরার সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মুজিবুর রহমানের নাম রয়েছে। তাছাড়া, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, সংগঠনটির আরেক সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিদ্দিকী নাজমুল আলম ও ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এস এম রবিউল ইসলাম সোহেলের নাম রয়েছে। এছাড়া, তালিকায় থাকা ঢাকা সিটির কাউন্সিলরদের মধ্যে রয়েছেন- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান ওরফে পাগলা মিজান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারিকুজ্জামান রাজীব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মঈনুল হক মঞ্জুর নাম উঠে এসেছে। এছাড়া যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, তার স্ত্রী শেখ সুলতানা রেখা, ছেলে আবিদ চৌধুরী, মুক্তাদির চৌধুরী ও ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরী, যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী স¤্রাট, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির বহিষ্কৃত দফতর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হক সাঈদ, যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের সহসভাপতি সরোয়ার হোসেন মনা, যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন স্বপন, যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন, যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের বহিষ্কৃত সহসভাপতি এনামুল হক আরমান, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুর রহমান মারুফ, তার স্ত্রী সানজিদা রহমান, যুবলীগ নেতা গাজী সরোয়ার বাবু, যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের সহসভাপতি মুরসালিক আহমেদ, তার মা আছিয়া বেগম, বাবা আবদুল লতিফ ও স্ত্রী কাওছারী আজাদ, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা কামরান প্রিন্স মোহাব্বত, যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান, যুবলীগ নেতা আতিয়ার রহমান দীপু, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান হোসেন খান, সদস্য হেলাল আকবর চৌধুরী, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক তসলিম উদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক কায়সার আহমেদ, যুবলীগ ঢাকা উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে বাপ্পীর নামও রয়েছে দুদকের তালিকায়। দুদক সূত্র জানায়, তালিকায় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে রয়েছে রাজধানীর গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনামুল হক এনু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রূপন মিয়া, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাশেদুল হক ভূঁইয়া, ঢাকার ৪১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাতেনুল হক ভূঁইয়া। আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাদের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার, তার স্ত্রী পারভীন সুলতানা, মেয়ে নুজহাত নাদিয়া নীলা, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কে এস মাসুদুর রহমান, তার বাবা আবুল খায়ের খান, মা রাজিয়া খান, স্ত্রী লুৎফুন নাহার লুনা, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য কলাবাগান ক্লাবের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজের নামও রয়েছে দুদকের স্থান পায়। পাশাপাশি বিদেশে অবস্থানরত শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান ও নাদিমের সম্পদেরও অনুসন্ধান করবে দুদক। এরআগে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শুদ্ধি অভিযান শুরু করে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। এরই অংশ হিসেবে ৩০ সেপ্টেম্বর দুদকের মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) সাঈদ মাহবুব খানকে তদারক কর্মকর্তা ও পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে প্রধান করে সাত সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়। অনুসন্ধান দলের প্রাথমিক তদন্তের ফল হিসেবে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপ্রদর্শিত ও অবৈধ সম্পদের তথ্য হাতে পেয়েছে দুদক। সে তালিকা অনুযায়ী, এবার অনুসন্ধানে নেমেছে সংস্থাটি। SHARES অর্থ ও বাণিজ্য বিষয়: