পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার,সারাদেশে যান চলাচল স্বাভাবিক

প্রকাশিত: ৪:০৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০১৯

নয়াদেশ রিপোর্ট।।  সকাল থেকেই সারাদেশে চলতে শুরু করেছে গণপরিবহন। ফলে সড়ক-মহাসড়কে ফিরে এসেছে স্বাভাবিক অবস্থা। সারাদেশে ডাকা পরিবহন ধর্মঘট বুধবার রাতে প্রত্যাহার করে নেয়ার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চলাচল করে পরিবহন। এরআগে, বুধবার (২০ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ধানমন্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের নিজস্ব বাসভবনে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টার রুদ্ধদার বৈঠক শেষে নতুন সড়ক পরিবহন আইন আংশিক পরিবর্তনের বিবেচনার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে গণপরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।

বৈঠক শেষে ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, নতুন সড়ক পরিবহন আইনের প্রয়োগের ক্ষেত্রে পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা আইনের কিছু ধারা সংশোধনের দাবি জানিয়েছিলেন। এ বিষয়ে তারা ৯ দফা দাবি প্রস্তাবও আমাদের কাছে দিয়েছেন। তারই ভিত্তিতে তারা কর্মবিরতিও পালন করেছেন।
আইনটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পাকিংসহ কিছু অসঙ্গতির কথা সরকারের রয়েছে স্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সে সকল অসঙ্গতি রয়েছে সেগুলোই বিবেচনা করা হবে।
তিনি বলেন, পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতাদের সাথে দীর্ঘ সময় আলোচনায় দাবি অনুসারে আইন সংশোধনের বিষয়ে বেশকিছু সুপারিশ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আমরা পাঠাবো। এ আশ্বাসে সন্তুষ্ট হয়ে তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছে।

দাবিগুলো সম্পর্কে মন্ত্রী আরও বলেন, যে লাইসেন্স দিয়ে তারা গাড়ি চালাচ্ছেন সেগুলোর অনেকগুলো সঠিকভাবে বিআরটিএ সময়মত দিতে পারেনি। অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন বা নবায়নের জন্য তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিআরটিএ নির্দিষ্ট সময়মত তা দিতে পারেনি। ফলে তারা সঠিক ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে তারা লাইসেন্সগুলো ঠিক করতে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছে। আমরা তা মেনে নিয়েছি। এখন তারা বর্তমানে যে লাইসেন্স আছে সেগুলো দিয়ে গাড়ি চালাতে পারবেন।
আবার ফিটনেসের বিষয়েও কিছু সমস্যা আছে, সেগুলোর বিষয়েও সময় দেয়া হয়েছে।
নতুন আইনের ১২৬টি ধারার ৯টি ধারায় তাদের আপত্তি ছিল। আইনটি ইতোমধ্যে প্রয়োগ শুরু হয়েছে। আর যে ধারাগুলো সংশোধনের দাবি এসেছে সেগুলো বিচার বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো।