নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলায় নিহতদের তালিকা NayaDesh NayaDesh প্রকাশিত: ১২:৫৯ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০১৯ ডেইলি নিউজ ডেস্ক রিপোর্ট॥ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই অভিবাসী। সোমবার স্থানীয় সময় বেলা দুটায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। যেখানে ছবিসহ নিহতদের নাম ও বয়স উল্লেখ করা হয়েছে। বিবিসি অনলাইন জানিয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেই পরিবার নিয়ে কোলাহলমুক্ত ও বিশুদ্ধ পরিবেশে একুট শান্তিতে জীবনযাপন করতে নিউজিল্যান্ডে বসবাস করছিলেন। এ ঘটনায় নিহত ও নিখোঁজের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড। নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, আফগানিস্তান, সিরিয়া, মিসর, জর্ডান, ফিজি, ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও সোমালিয়ার নাগরিক রয়েছেন। নিহতের তালিকায় ২ শিশু ও ২ কিশোর রয়েছে। তারা হলো- মুকাদ ইব্রাহীম (৩), আবদুল্লাহ দিরিয়া (৪), সায়দ মিলনে (১৪) ও হামজা (১৬)। অন্য নিহতরা হলেন- ওসামা আদনান আবু কাইক (৩৭), মহসিন আল হারবি (৬৩), জিহান রাজা (৩৮), লিন্ডা আর্মস্ট্রং (৬৫), কামাল দারিশ (৩৯), মাহবুব খন্দকার (৬৫), খালেদ মুস্তফা (৪৫), ড. হারুন মাহমুদ (৪০), মোহাম্মদ আবদুস সামাদ (৬৬), নাঈম রশিদ ও তার ছেলে তালহা (২১), হুসনে আরা পারভিন (৪২), আলি ইলমাদানী (৬৬), তরিক রহমান (২৪), সৈয়দ জাহানদাদ আলি (৪৩), মনির সোলায়মান (৬৮) ওজায়ের কাদের (২৪), মোহাম্মদ ইমরান খান (৪৭), আমাদ জামালুদ্দিন আবদুল গনি (৬৮), সৈয়দ আরীব আহমেদ (২৬). মাতুল্লাহ সাফি (৬৫), হুসাইন মোস্তফা (৭০), রমিজ ভোরা (২৮), লিলিক আবদুল হামিদ (৫৮), হাজি দাউদ নবী (৭১), ফরহাজ আহসান (৩০), মোহাম্মদ আলি ভোরা (৫৮), মোজাম্মেল হক (৩০), গোলাম হুসেইন ( ৬০), আত্তা ইলায়ান (৩৩), করম বিবি (৬০), হুসেইন আল উমারি (৩৬), মুসা ওয়ালি সুলেমান প্যাটেল (৬০), মোহাম্মদ ওমর ফারুক (৩৬), আবদেল ফাত্তাহ কাসেম (৬০), জুনায়েদ ইসমাইল (৩৬) এবং আশরাফ আলী (৬১)। এ ছাড়া জাকারিয়া ভূঁইয়া নামে এক অভিবাসী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে ডেইলি মেইল সংবাদমাধ্যমটি। এ হামলায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচ বাংলাদেশি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের অনারারি কনসাল শফিকুর রহমান ভূঁইয়া। তন্মধ্যে নিহত দুই বাংলাদেশি হলেন স্থানীয় লিংকন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আবদুস সামাদ ও গৃহবধূ হোসনে আরা ফরিদ। হোসনে আরা স্বামীকে খুঁজতে গিয়ে নিহত হন বলে জানিয়েছেন তার পরিবার। উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে জুমার নামাজের সময় মসজিদে হামলা চালায় মুসলিম বিদ্বেষী অস্ট্রেলিয়ান এক নাগরিক। প্রথমে আল নূর মসজিদে হামলা চালায় সে। পরে পার্শ্ববর্তী লিনউড মসজিদ হামলা চালায়। নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডের পুরো ঘটনা ফেসবুক লাইভে প্রচার করে হামলাকারী। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের পাঁচজনসহ ৫০ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সেখানে অবস্থান করা বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন। তারা ওই মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। আর মাত্র পাঁচ মিনিট আগে তারা মসজিদে প্রবেশে করলে দুর্ঘটনার মুখ পতিত হতে হতো তাদেরও। পরে ক্রিকেটাররা দৌড়ে সেখান থেকে নিরাপদে আশ্রয় নেন। ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে ব্রেন্টন টেরেন্ট শুধু হামলায় জড়িত নন বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম প্রচার করছে। বাইরে রাখা গাড়িতে তার কয়েকজন সহযোগীও ছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গাড়ির ভেতরে থাকা সহযোগীদের বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং শুধু ব্রেন্টনকে তুলে ধরা হচ্ছে। এতে শ্বেত-সন্ত্রাসবাদীদের সংগঠিত অবস্থাকে আড়ালের চেষ্টা চলছে বহচ্ছে। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: