ঢাকা-চট্টগ্রামে গাড়ি প্রবেশ কমাতে অর্ধেক গাড়ি চালানোর সিদ্ধান্ত: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

প্রকাশিত: ২:১০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০২১

নয়াদেশ রিপোর্ট ॥ ঢাকা ও চট্টগ্রামে গাড়ি প্রবেশ কমাতে অর্ধেক গাড়ি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। সোমবার (৯ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেছেন তিনি।
এর আগে সকালে সড়কে অর্ধেক গাড়ি নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বললে ভালো হতো বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
গতকাল রোববার সারা দেশে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে আগামী বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে সব ধরনের অফিস ও কলকারখানা খোলার অনুমতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শপিংমল ও বাজার সকাল ১০টা থেকে শুরু করে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত ৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিধিনিষেধের অনুবৃত্তিক্রমে কিছু শর্ত সংযুক্ত করে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।
শর্তগুলো হলো-
১. সকল সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক খোলা থাকবে।
২. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতসমূহের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।
৩. সড়ক, রেল ও নৌপথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন/যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়কপথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দপ্তর/সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।
৪. শপিংমল/মার্কেট/দোকানপাটসমূহ সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক খোলা রাখা যাবে।
৫. সব প্রকার শিল্প-কলকারখানা চালু থাকবে।
৬. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
৭. সকল ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
৮. গণপরিবহন, বিভিন্ন দপ্তর, মার্কেট ও বাজারসহ যে কোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লিখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এর আগে দুপুরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ১০ আগস্টের পর চলমান বিধিনিষেধ একবারে তুলে নেওয়া হবে না। ধাপে ধাপে শিথিল করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিধিনিষেধে কোন কোন বিষয়ে ছাড় দেওয়া হবে সে বিষয়ে দু-একদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত হবে। কর্মজীবীদের অগ্রাধিকার দিয়ে ভ্যক্সিনেশনের মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ৩ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেছিলেন, আগামী ১১ আগস্ট থেকে সীমিত পরিসরে দোকানপাট ও মার্কেট খোলা হবে। সেই সঙ্গে সীমিত পরিসরে চলাচল করবে গণপরিবহনও।
লকডাউন বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, কঠোর লকডাউনের মেয়াদ আমরা আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়াচ্ছি। কারণ ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য আমরা এ ১০ তারিখ পর্যন্ত সুযোগ দিচ্ছি। আর ১১ তারিখ থেকে যাতে সবকিছু খুলতে পারে আমরা সেই সুযোগ রেখেছি।