টিকাদানে নৈরাজ্য চলছে: ফখরুল

প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১২, ২০২১

নয়াদেশ রিপোর্ট ॥ মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকাদানে সরকারের ব্যবস্থাপনায় নৈরাজ্য চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সকালে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় আজকে এ সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। যেটাকে বলা যায়, করোনা মোকাবিলায় টোটাল ম্যানেজমেন্ট ফেইলিউর। এর ফলে আজকে টিকাদানে ম্যানেজমেন্টের প্রচণ্ড রকমের যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে, সেই নৈরাজ্যের কারণে গোটা জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। আমরা পত্রপত্রিকায় তা দেখতে পারছি।
আমরা আবারও সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে টিকা সংগ্রহ করে এ করোনা মোকাবিলার জন্য একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করে সত্যিকার অর্থেই জনগণের জন্য কাজ করুন।
লকডাউন তুলে নেওয়ার পর সংক্রমণ কমছে না, লকডাউন তুলে নেওয়া ঠিক হয়েছে কি না প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমি প্রথম থেকে বলছি যে, আসলে করোনা মোকাবিলায় সরকারের টোটাল ম্যানেজমেন্ট ব্যর্থ হয়েছে। দিজ গভর্মেন্ট হেজ ফেইল্ড টোটালি টু ম্যানেজ করোনা। অপরিকল্পিত লকডাউন, অপরিকল্পিত টিকা ব্যবস্থা, অপরিকল্পিত মানুষের জীবন ব্যবস্থা করা; সব মিলিয়ে এ সরকারের আর একমুহূর্ত ক্ষমতায় থাকা ‍উচিত নয়। দে শোড বি রিজাইন ইমিডিয়েটলি।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যে বিরাজনীতিকরণ শুরু হয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার একইভাবে সেই বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়ায় বেগম খালেদা জিয়াকে আটক করে রেখেছে। কারাগার থেকে এখন বেগম খালেদা জিয়া গৃহবন্দি।
আরাফাত রহমান কোকোর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে ক্রীড়া সংগঠন এবং ক্রিকেটের উন্নয়নের তার একনিষ্ঠ ভূমিকার কথা স্মরণ করেন বিএনপি মহাসচিব। জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ৫২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ১১টায় বিএনপি মহাসচিব নেতাকর্মীদের নিয়ে বনানী কবরস্থানে তার কবরে ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময়ে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক, দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সাইফুল্ আলম নিবর, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, মামুন হাসান, এসএম জাহাঙ্গীর, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের ফজলুল রহমান খোকনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি ৪৫ বছর বয়সে মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান কোকো। পরে ২৮ জানুয়ারি তার মরদেহ দেশে এনে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়। কোকোর আত্মার মাগফেরাত কামনায় দুপুরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও বিকেলে চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিলের কর্মসূচি রয়েছে বিএনপির।