খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত স্বরাষ্ট্রে প্রকাশিত: ৫:২০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৭, ২০২১ নয়াদেশ রিপোর্ট॥ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ কথা জানিয়েছেন। তবে আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কী মতামত দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। আইনমন্ত্রী জানান, ফাইলটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাবে। কবে নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফাইল যেতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফাইল পাওয়ার পরে সিদ্ধান্ত নেবেন। নতুন বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতির নির্দেশনা এসেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো আসেনি। ৩০ ডিসেম্বর বর্তমান প্রধান বিচারপতি অবসরে যাবেন। তারপরে আসাটা আমার মনে হয় সঠিক হবে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাগারে থাকার পর গত বছরের ২৫ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন সরকারের নির্বাহী আদেশে কারাগার থেকে মুক্তি পান। ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৪০১(১) ধারা অনুযায়ী খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড স্থগিত করা হয়। সিআরপিসির ৪০১(১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘যখন কোনো ব্যক্তিকে অপরাধের জন্য শাস্তি প্রদান করা হয়, তখন সরকার যে কোনো সময় শর্ত ছাড়াই অথবা শর্তের বিনিময়ে (দণ্ডিত ব্যক্তি গ্রহণ করে) শাস্তি কার্যকর স্থগিত করতে পারে। অথবা তাকে যে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তার পুরো বা যে কোনো অংশ স্থগিত করতে পারে।’ পরবর্তীতে খালেদার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। ২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। অভিযোগে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সরকারে থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতা অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা সুবিধা পাইয়ে দেয়। তৎকালীন আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমেদ, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, ভারপ্রাপ্ত জ্বালানি সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, নাইকো রিসোর্সেস বাংলাদেশ লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট (দক্ষিণ এশিয়া) খন্দকার শহীদুল ইসলামকেও এই মামলায় আসামি করা হয়। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার মহানগর হাকিমের আদালতে বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী বাদী হয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। পরের বছরের ১২ নভেম্বর আদালত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেন। এ ছাড়া, মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ভুয়া জন্মদিন পালন করার অভিযোগ এনে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ১৭ নভেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হয়। SHARES আইন আদালত বিষয়: