কর্মস্থলে ব্রেস্ট ফিডিং কর্ণার স্থাপনে হাইকোর্টের রুল NayaDesh NayaDesh প্রকাশিত: ৬:৪৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০১৯ নয়াদেশ রিপোর্ট ।। কর্মস্থলসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রোববার (২৭ অক্টোবর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। একইসাথে পাবলিক প্লেস ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনে নীতিমালা তৈরি করতে নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। রুলে কর্মস্থল, এয়ারপোর্ট, বাসস্টপ, রেলওয়ে স্টেশন, শপিং মল ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার ও বেবি কেয়ার কর্নার স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছেন আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল হালিম, অ্যাডভোকেট রাশিদুল হাসান ও জামিউল হক ফয়সাল। এরআগে, গত ২২ অক্টোবর নিরাপদ পরিবেশে ও স্বাচ্ছন্দ্যে মায়ের বুকের দুধ পান করতে নয় মাসের শিশু উমাইর বিন সাদী ও তাঁর মা অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান রিট করেন। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, সমাজকল্যাণ সচিব, বিমান ও পর্যটন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলে জবাব দিতে বলা হয়েছে। রিটে আরও বলা হয়, এমন পরিবেশে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করতে হবে যেখানে কোনো মা সন্তানকে বুকের দুধ পান করাতে অস্বস্তি বোধ করবে না। বা যৌন হয়রানির শিকার হবে না। সেটা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছেন, বাংলাদেশের উচ্চ আদালতে নয় মাস বয়সি কোনো শিশু এই প্রথম পিটিশনার হয়েছে। ছোট্ট শিশুর রিট পিটিশনার হতে আদালতের অনুমতিও নিতে হয়েছে। শিশু উমাইরের মা বলেন, অনেক কর্মস্থলে বা বাস, ট্রেন স্টেশনে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার না থাকায় মায়েদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। নিরাপদ পরিবেশের অভাবে ও যৌন হয়রানির ভয়ে মায়েরা শিশুদের বুকের দুধ পান করাতে পারেন না। অথচ একজন শিশুর মানসিক ও শারীরিক বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মায়ের বুকের দুধ। প্রতিবেদনে বলা হয়, সুন্দর-সুস্থ ও সবলভাবে শিশুর বেড়ে ওঠা এবং নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিতে সরকারি বেসকারি প্রতিটি কর্মস্থলে মাতৃদুগ্ধদান; স্থাপন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এরপর নয় বছর অতিবাহিত হলেও এ ক্ষেত্রে দৃশ্যমান কোনো উন্নতি লক্ষ্য করা যায়নি। বেশিরভাগ কর্মক্ষেত্রে কর্মজীবী মায়েদের জন্য নেই। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফি অ্যান্ড হেলথ সার্ভের (বিডিএইচএস) থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের এক জরিপে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের এক-তৃতীয়াংশ শিশু খর্বকায়, আর ৩৩ শতাংশ শিশুর ওজন কম, ১৪ ভাগ শিশু কৃশকায় (লম্বার তুলনায় ওজন খুবই কম)। এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিংয়ের যে হার একশ ভাগ হবার কথা, সেখানে আমাদের রয়েছে ৫৫ শতাংশ। শিশুর পুষ্টিমান নিশ্চিতে সব জায়গায় ব্রেস্ট ফিডিং কর্ণার থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং সময়ের দাবি। SHARES আইন আদালত বিষয়: