ঐতিহাসিক ম্যাচে টাইগারদের জয় NayaDesh NayaDesh প্রকাশিত: ১২:৩৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৪, ২০১৯ নয়াদেশ স্পোর্টস ডেস্ক।। সাকিব-তামিমহীন টাইগার দল, টি-টোয়েন্টির হাজারতম ম্যাচ, প্রচন্ড বায়ু দূষণে স্টেডিয়াম পরিবেশ, ম্যাচ হবে কি-না এমন শঙ্কা বিসিসিআইসহ ক্রিকেট বোদ্ধারা। এত সব প্রতিকুলতা পেরিয়ে অবশেষে শুরু ভারত-বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ। সকল ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৪৮ রান। বাংলাদেশ ১৪৯ রানের লক্ষ্য নিয়ে শুরু করে ব্যাটিং। যদিও ভারতে বিপক্ষে সাকিব-তামিমবিহীন টাইগারদের জন্যে খুবই চ্যালেজিং। রান রেট কখনও পক্ষে কখনো বা বিপক্ষে। চাঁপা এক উত্তেজনা। শেষ পর্যন্ত মুশফিকের ব্যাটে ভর করে ৩ বল বাকী থাকতেই ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে বিজয় ছিনিয়ে নেয় টাইগাররা। পুরো অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম যেন ফেঁটে পরার অবস্থা টাইগার সমর্থকদের উল্লাসে। আর এ জয়ের মাধ্যমে নবমবারের চেষ্টায় ভারতের বিপক্ষে প্রথম জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। মুশফিক ৪৩ বলে অপরাজিত ৬০ রানের ইনিংসে ছিল ঝুলিতে নেয় আটটি চার ও একটি ছক্কা। অভিষিক্ত নাইম শেখ ২৬ ও অপর বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকারের ৩৯ রানের ওপর দাঁড় করানো পিলারে ১৪৯ তলা ভবনের কাজ শেষ করেন মুশফিকুর রহীম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাদের অবিচ্ছিন্ন ৪০ রানের জুটিই ম্যাচের ৩ বল বাকি রেখে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশের। অভিষিক্ত শিভাম দুবের করা শেষ ওভারের তৃতীয় বলে অসাধারণ এক ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জেতান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ইনিংসের প্রথম বলে দারুণ কভার ড্রাইভে দুই আর পরের বলে কবজির হালকার ওপর ঝাঁপসা টোকায় মিডউইকেট দিয়ে চার নিয়ে দুর্দান্ত ছিল লিটনের ইনিংস। তবে, বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি পিজে। সাজঘরে ফিরতে হয় সে ওভারেই। দ্বিতীয় উইকেটে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন নাইম শেখ ও সৌম্য সরকার। দুজনের দারুণ কেমিস্ট্রিতে ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে ৪৫ রান ঝুলিতে নেয় বাংলাদেশ। ফলে ৭ ওভারে ৫৩ রান ওঠে স্কোরবোর্ডে। অষ্টম ওভার পরে নাইম ২৮ বলে ২৬ রান করে আউট হন। ফলে ১০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২/৬১ রানে। তখন, জয়ের জন্য প্রতি ওভারে রানের প্রয়োজন ৯ রান। এমন চাপে ইতিবাচকভাবে খেলেন মুশফিক ও সৌম্য। গড়েন ৬০ রানের জুটি। ইনিংসের ১৭তম ওভারের শেষ বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সৌম্য ফিরে যান সাজঘরে। আউট হওয়ার আগে ১ চার ও ২ ছয়ের মারে ৩৫ বলে ৩৯ রান রান করেন তিনি। তখনও ম্যাচ জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হতো ১৮ বলে ৩৫ রান। ঠিক তখনই ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা লেগস্পিনার চাহালকে ডাকেন শেষ ওভার করার জন্য। তবে নিজের আগের তিন ওভারের মতো শেষ ওভারে আর পাত্তা পাননি চাহাল। সেই ওভারের তৃতীয় বলেই আউট হতে পারতেন মুশফিক। কিন্তু বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। বাউন্ডারি পেয়ে যান মুশফিক। একই ওভারের শেষ বলে মাহমুদউল্লাহ আরেকটি বাউন্ডারি হাঁকালে ১৩ রান পায় বাংলাদেশ। সমীকরণ তখন ১২ বলে ২২ রানে। এরসাথে ম্যাচ পুরোটা নিজেদের পকেটে পুরে নেন মুশফিক। খলিল আহমেদের করা সেই ওভারের শেষ চার বলে টানা বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তুলে নেন ১৮ রান। আর শেষ ওভারে বাকি থাকা ৪ রান করতে কোনো সমস্যাই হয়নি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। অষ্টম ওভারে উইকেটে এসে শেষ পর্যন্ত দলকে জিতে মাঠ ছাড়ার পুরষ্কার হিসেবে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন মুশফিক। ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংসটিতে ৮ চার ও ১ ছয়ের মারে ৪৩ বলে ৬০ রান করেন তিনি। আর এ সাথে ঐতিহাসিক ম্যাচে জয় তুলে আরেক ইতিহাস লেখা হয় বিশ্ব ক্রিকেট ইতিহাসে। SHARES খেলাধুলা বিষয়: