আদালত চত্বরে আসামি লোকদের পেটালেন মুহুরি

প্রকাশিত: ৪:১৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০১৯

নয়াদেশ রিপোর্ট ।।  মামাকে দেখতে এসে আইনজীবীর সহকারীর (মুহুরি) হাতে মার খেলেন ভাগনে বেলাল হোসেন ও স্ত্রী ওয়াহিদা বেগম। ভুক্তভোগিদের অভিযোগ, শুধু শারীরিক নির্যাতনই নয়, তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে নগদ ৬০ হাজার টাকা, একটি মোবাইল সেট ও একটা স্বর্ণের চেইন।
রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত বেলাল জানায়, তার মামা মনোয়ার আলীকে একটি সিআর মামলায় গতকাল (২৩ নভেম্বর) রাতে যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে দেখার জন্যে তিনি তার স্ত্রী ও মামি নাছিমা বেগম আদালতে আসেন। এ সময় মুহুরি মাসুদ দলবল নিয়ে তাদের মারধর করেন।
এদিকে, স্থানীয় পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীদেরকে মুহুরি মাসুদ উল্টো অভিযোগ করে বলেন, আসামীরা জামিন না পেয়ে আকস্মিত তার ওপর হামলা করে তাকে আহত করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জামিন শেষে আদালত চত্বরে বেলাল তার স্ত্রী ও মামিসহ বেরিয়ে আসার সময় মুহুরি মাসুদ ও কিছু লোক হঠাৎই বেলালকে ধরে মারধর শুরু করে। এসময় আদালত পুলিশ তাদের ছাড়ানোর চেষ্টা করে। এক সময় পুলিশ মারের হাত থেকে বাঁচাতে বেলালকে ঘিরে রাখে। তারপরও বেলালকে পেটায় মুহুরি মাসুদ ও তার লোকজন।
পরে হট্টগোল দেখে সেখানে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মাসুদ এ সময় আইনজীবীর সহকারীর (মুহুরি) পরিচয়পত্র পকেট থেকে বের করে নিজেকে ঢাকা বারের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে পরিচয় দেয়।
বেলাল জানায়, মুহুরি মাসুদ বাদীপক্ষের আইনজীবির সহকারী। সে (মুহুরি) বেলালের পকেটে টাকা দেখে পরিকল্পিতভাবে তার (বেলাল) স্ত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। বেলাল তার প্রতিবাদ করার সাথে সাথে মুহুরি ও তার লোকজন তাদের ওপর হামলা করে ৬০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তারা বেলালের স্ত্রীর গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। হামলাকারীরা তার স্ত্রী ও মামিকে মারতে থাকে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা করবেন বলে জানান বেলাল।
ঢাকা বারের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান রচি বলেন, মুহুরি কীভাবে কার্যকরী পরিষদের সদস্য হয় আমি জানি না? সে যদি নিজেকে আইনজীবি ও বারের সদস্য পরিচয় দেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।