অপপ্রচারকারীদের কথায় কান না দেয়ার আহ্নবান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ১:৪৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০১৯

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ।।   দেশ যখন ভাল চলে, দেশের জনগণ যখন সুখ-শান্তিতে থাকে, তখন একটি গোষ্ঠি দেশে অরাজকতা লাগিয়ে হাসে। দেশ ও মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তারা শান্তি পায়। এটা নতুন কিছু নয়। তবে, তাদের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
সাসম্প্রতিক লবণ ও চাল নিয়ে গুজব ছড়ানোর বিষয়ে ইঙ্গিত করে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসে আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে স্বাধীনতা যুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা ও সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠান এবং ২০১৯-২০ সালে সশস্ত্র বাহিনীর শান্তিকালীন সেনা/নৌ/বিমান বাহিনী পদক এবং অসামন্য সেবাপদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে কোন ধরনের গুজবে কান না দেয়ার আহ্নবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশের মানুষ যেন ভালো থাকে, সে লক্ষ্যে আমরা নানা কর্মসূচি গ্রহণ করছি। যাদের ঘর নেই, তাদের ঘর দিচ্ছি। যাদের জমি নেই, তাদের জমি দিচ্ছি। গুচ্ছগ্রাম, আদর্শ গ্রাম ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে অনেককে পুনর্বাসন করছি।
বলেন, গরিবের সন্তানরা যেন লেখাপড়া করতে পারে, সেজন্য বৃত্তি-উপবৃত্তি দিচ্ছি। বিনা পয়সায় ছেলে-মেয়েদের বই দেয়া হচ্ছে।
এদিক থেকে আমি বলবো, আজকে আমাদের মাছ উৎপাদন বেড়েছে, তরি-তরকারি উৎপাদন বেড়েছে। খাদ্য এবং পুষ্টির দিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিচ্ছি। আজকে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বরং এখন উদ্বৃত্ত খাদ্যের দেশ বাংলাদেশ।
আজকের শিক্ষার্থীরা যাতে লেখাপড়া শিখে মানুষ হতে পারে, তারা যেন এদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারে, আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।
সারাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা আপনাদের সন্তান, নাতি-পুতিদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলবেন। তারা যেন মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারে। দেশকে ভালোবাসতে পারে। যুদ্ধ করে আমরা এ দেশ স্বাধীন করেছি। বাঙালি বীরের জাতি, এ কথা যেন নতুন প্রজন্মের সন্তানরা জানতে পারে। ভবিষৎ প্রজন্ম বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে। কারণ, আমরা বীরের জাতি। বাঙালি জাতিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, তিন বাহিনী প্রধানসহ সামরিক ও বেসারিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সকাল ৮টার দিকে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা নিবেদন করে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।