অধ্যক্ষসহ ১৬ জনের ফাঁসির আদেশ

প্রকাশিত: ১:৫২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০১৯

নয়াদেশ রিপোর্ট ।।  ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাসহ ১৬ আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ রায় দেন। অন্যান্য মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন – সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, হাফেজ আব্দুল কাদের, আবছার উদ্দিন, আব্দুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মোহাম্মদ শামীম, মাদরাসার গভর্নিং বডির সহ-সভাপতি রুহুল আমীন, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা ও মহিউদ্দিন শাকিল।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ- দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাঁদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দিলে ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎরত অবস্থায় নুসরাত জাহান রাফি মারা যান।
পরে এ ঘটনায় মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৗলাকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।

নুসরাত হত্যা মামলায় পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ২১ জনকে গ্রেফতার করে। ২৯ মে ১৬ জনকে আসামি করে ৮০৮ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করে পিবিআই। সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় নূর হোসেন, কেফায়েত উল্যাহ জনি, আলাউদ্দিন, সাইদুল ও আরিফুল ইসলামকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেয়া হয়।
৩০ মে মামলাটি ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ১০ জুন আদালত মামলাটি আমলে নিলে শুনানি শুরু হয়। ২০ জুন অভিযুক্ত ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিচারিক আদালত। ২৭ ও ৩০ জুন মামলার বাদী মাহমুদুল হাসান নোমানকে জেরার মধ্য দিয়ে বিচারকাজ শুরু হয়।